কক্সবাজার ২৪ এপ্রিল ১৯ ইং
…………………………………………………………….
প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাগা অগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পূর্বে পুড়ে গেছ ২৮টি ঘর। এ সময় আহত হয়েছে ৪ রোহিঙ্গা। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করতে পারেনি প্রশাসন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারুজ্জমান আগুন লাগার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুপুরে হঠাৎ করে ক্যাম্প-৫ এ আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। একই সাথে আমিও দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং এনজিও সংস্থার প্রশিক্ষিত লোকজন মিলে এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। তবে এর আগে ১ টি মসজিদ ২৮ টি ঝুঁপড়ি ঘর পুড়ে যায়। এছাড়া আগ্নিকান্ডের ঘটনায় চারজন আহত হয়েছে। আহদের মধ্যে একজন সাত আট বছরের এক মেয়ে ও তিন জন যুবক রয়েছে। তবে আহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেন নি তিনি।
ক্যাম্প-৫এর রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, হঠাৎ দুপুর একটার দিকে একটি ঘরের ভেতর থেকে আগুন দেখা যায়। চোখের পলকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ছড়িযে পড়ে কয়েকটি ঘরে। রোহিঙ্গারা যার যার মতো চেষ্টা করেছে কিন্তু কোনভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। প্রায় ২৫/২৮ টি ঘরে পুড়ে যাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুণ নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুণের তিব্রতা ছড়িয়ে পড়ার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রন আনা সম্ভব হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয় ক্ষতি থেকে ক্যাম্প রক্ষা পেয়েছে।
উখিয়া ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ ইমদাদুল হক জানান, আগুন লাগার খবরে উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। আগুন নেভাতে গিয়ে বৃদ্ধাসহ চারজন রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। ধারনা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উখিয়া থানা পুলিশের ওসি আবুল খায়ের বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল দ্রুত সেখানে যায়। পুলিশের তৎপরতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের বেগ পেতে হয়নি।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, দুপুরে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ নং ক্যাম্পের একটি ঘরে রান্না করার সময় আগুন লাগে। পরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও রোহিঙ্গা এনজিও কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। অন্যথায় যে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো তা কল্পনাও করা যায় না।
মন্তব্য করুন