বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন
আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স ॥
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের বিকেল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ডা. আবু আহাদ সিজার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. আতিকুর রহমান আতিকের অনুসারীদের মধ্যে কলেজের ক্যান্টিন পরিচালনা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ক্যান্টিনের খাবারের মান নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এর জের ধরে রাত ৩টার দিকে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা ও হকিস্টিক নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আধাঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষের সময় ক্যান্টিন ছাড়াও হোস্টেলের তিনটি কক্ষ ভাঙচুর এবং মালামাল তছনছ করা হয়। সংঘর্ষের পর রাতেই কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে সংঘর্ষে কারো গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
গতকাল সকাল থেকে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে সকাল ১১টায় একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক হয়।
বৈঠকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে অনির্দিষ্টকালের জন্য মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. রেজাউল ইসলাম জানান, ক্যান্টিন পরিচালনা নিয়ে মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ কারণে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর বিকেলে শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এরপর যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জানতে চাইলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু আহাদ সিজার বলেন, ‘আমরা কারো ওপর হামলা করিনি। আতিক তার বাহিনী নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে।’ অন্যদিকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক বলেন, ‘সিজার পরিকল্পিতভাবে এ ভাঙচুর চালিয়ে আমাদের ওপর দোষারোপ করছে।’
কলেজের অধ্যক্ষ আহসান হাবিব বলেন, ‘শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় বাধ্য হয়ে কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
মন্তব্য করুন