মঙ্গলবার সকালে সদর ইউনিয়নের ছিঁড়াদিয়ায় এ সংঘর্ষ হয় বলে জানান পেকুয়া থানার ওসি আব্দুর রকিব।
ঘটনার পর ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
নিহত কফিল উদ্দিন (৩০) স্থানীয় জসীম উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ আট জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আহতদের মধ্যে জসীম উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ বাপ্পী (২২), মৃত জিন্নাত আলীর ছেলে জয়নাল (৪০), শাহাব উদ্দিনের ছেলে মোরশেদ আলম (২৮), রুস্তম আলীর ছেলে মোহাম্মদ মকছুদ (৩৪), জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী সাজেদা বেগম (২৭) ও তাদের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে জয়নাব বেগমকে (১১) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অপর চারজনকে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এরা হলেন, শাহ জামালের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে নিলুফা আক্তার (১১), মৃত জিন্নাত আলীর ছেলে আজম খান (৪৫), তার ভাই বাবুল (৫৫) এবং শাহ জামালের স্ত্রী মিনা (২৭)।
ওসি আব্দুর রকিব জানান, সরকারি জমিতে একটি চিংড়ি ঘের নিয়ে এলাকার আজম খান ও কায়সার নামের দুইজনের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এর জেরে সকালে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে “সকাল ১০টার দিকে বন্দুক, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে কায়সারের লোকজন আজমের বাড়িতে হামলা চালালে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। গুলি ও লাঠিসোটার আঘাতে কফিল উদ্দিনের মৃত্যু হয়।”
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো করেছে বলে জানান তিনি।
ওসি জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কায়সারের সমর্থক আট জনকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের কাছ থেকে তিনটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসন দুপুরে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন