বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
শাহীনশাহ, টেকনাফ
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কান্জরপাড়া এলাকায় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতাদের একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি অব্যাহত রেখেছে সেই হামলাকারীরা। অপহরণ ও হামলার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে কাউন্টার মামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ১৭ সেপ্টেম্বর বনবিভাগের পরামর্শক্রমে ২০০৭ ও ২০০৮ অর্থ বছরের সামাজিক বনায়নে উপকারভোগি ও ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুল গফ্ফার বনায়ন করতে গেলে ভুমিদস্যুরা পরিকল্পিতভাবে তাঁকে অপহরণ করা হয়। এ খবর পরিবারের কাছে পৌঁছালে অপহৃতের ছোট ভাই ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য মুফিজুল ইসলাম স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করতে গেলে তাদের হামলা চালায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহতদের চিকিৎসা শেষে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নম্বার ৪০ জিআর ৫৯৫। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, ওই মামলা ধামাচাপা দিতে বেচা আলীর মেয়ে দিলোয়ারা বেগম বাদী হয়ে হামলাকারীরা ২২ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আইনে মামলা দায়ের করা হয় । পর্যালোচনা করে মামলাটি খারিজ করে দেয় বিজ্ঞ আদালত । পরবর্তী মৃত বেচা আলীর ছেলে ইলিয়াছ বাদী হয়ে সরকারী জমি বা বনভূমি দখল ও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল গফ্ফার, মুফিজুল ইসলাম গংদের বাদী করে করে অপর একটি মামলা দায়ের করা হয়। যা পিবিআইয়ে তদন্তাধীন রয়েছে। উপকারভোগি আব্দুল গফ্ফার ওই বনায়নের কতিপয় উপকারভোগিরা বলেন, ভুমিদস্যুরা সামাজিক বনায়ন ন্যাড়া করে ফেলা হয়। সংশ্লিষ্ট বনবিভাগের পরামর্শক্রমে বনায়ন করতে গেলে মৃত বেচা আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন ও বেলাল উদ্দিন গংরা অপহরণ করে আমাদের হামলা চালায়। এতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ বিষয়কে ধামাচাপা দিতে একের পর এক মিথ্যা মামলা অব্যাহত রাখে তারা। সংশ্লিষ্ট ঝিমংখালী বিট অফিসার খোরশেদ আলম জানান, মৃত বেচাআলী ওই বনায়নের উপকারভোগি। তবে তার পুত্র হেলাল উদ্দিন ও বেলাল উদ্দিন ১০ একর বনভূমি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। ওই বনভূমিতে বনায়ন করতে গেলে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটায় তারা। হোয়াইক্যং ফাঁড়ী পুলিশের ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই শামীউর রহমান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হামলাকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন