বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের এই পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাংক তাদেরই অতি দরিদ্র বিবেচনা করেছে, যাদের আয় দিনে ১.৯০ ডলারের (দেড়শ টাকার মত) কম।
আগে দৈনিক ১.২৫ ডলারের কম আয়ের মানুষদের অতি দরিদ্র বিবেচনা করা হত।
বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস বলছে, চলতি বছরই বিশ্বে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৯.৬ শতাংশে নেমে আসবে, যা ২০১২ সালে ১২.৮ শতাংশ ছিল।
তবে সাব সাহারা অঞ্চলের দারিদ্র্যের হার এখনও একটি বড় উদ্বেগের বিষয় বলে বিশ্ব ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাব সাহারা অঞ্চলে ২০১২ সালে যেখানে ৪২.৬ শতাংশ মানুষ ‘অতি দরিদ্র’ ছিল, সেখানে চলতি বছর শেষে তা ৩৫.২ শতাংশে নেমে আসতে পারে। কিন্তু এই সংখ্যাও বিশ্বের মোট অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের সমান।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, “মানব সভ্যতার ইতহাসে আমরাই প্রথম প্রজন্ম, যাদের সামনে অতি দারিদ্র্যের ইতি টানার সুযোগ এসেছে।”
উন্নয়নশীল দেশগুলোর শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বিনিয়োগ বাড়ার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে বিশ্ব ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
অবশ্য বর্তমান বিশ্বে অর্থনীতির ধীর গতি, আর্থিক খাতের অস্থিরতা, যুদ্ধ পরিস্থিতি, বেকারত্বের উচ্চ হার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে সামনের দিনগুলোতে উন্নয়নের গতি আরও এগিয়ে নেওয়া অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়তে পারে বরে সতর্ক করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট।
মন্তব্য করুন