মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৭ অপরাহ্ন

আঁধার আমার আঁধার ওগো…

আঁধার আমার আঁধার ওগো…

অনলাইন বিজ্ঞাপন

আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স॥

এলটন চিগুম্বুরা? পাকিস্তানি সমর্থকেরা বলতে পারেন, চিগুম্বুরা নন; গত পরশুর ম্যাচ সেরা আসলে ফ্লাড লাইড। ফ্লাড লাইটও তো জিতিয়ে দিল জিম্বাবুয়েকে!
এ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। হচ্ছেও। ঝানু ব্যবসায়ী কেরি প্যাকারের হাত ধরে ক্রিকেটে আসা কৃত্রিম আলোর তীব্র ঝলকানি মাঝে মধ্যেই তীব্রতর বিতর্কের জন্মও দিয়েছে। এরই সর্বশেষ সংযোগ হলো জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান দ্বিতীয় ওয়ানডেতে।
ফ্লাড লাইট ‘প্রহসনে’ও সবচেয়ে বিখ্যাত উদাহরণ ২০০৭ বিশ্বকাপ ফাইনাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়েছিল দিনের বেলা। ফ্লাড লাইটের ডাক পড়েনি। অথচ ডাক পড়ল একেবারেই ফাইনালেই!
বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ফাইনালে প্রথমে ৩৮ ওভারে ২৮২ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করছিল শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টির জন্য নতুন টার্গেট দাঁড়ায় ৩৬ ওভারে ২৬৯। শ্রীলঙ্কা ৩৩ ওভারে ২০৬ রান নেওয়ার পর আবারও আলোক স্বল্পতার কারণে মাঠ ছাড়ে দুই দল। ডি/এল পদ্ধতিতে তখন ৩৭ রানে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। মাঠেই জয় উৎসব শুরু করে দেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। কিন্তু এতে আবার বাদ সাধেন আম্পায়াররা। খেলার বাকি তিন ওভার খেলার জন্য নাকি পরদিন আবার মাঠে নামতে হবে দুই দলকে!
বিরক্ত শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে ব্যাপারটিকে আর টেনে লম্বা করতে চাইলেন না। নিয়মই যখন রক্ষা করতে হবে, হয়ে যাক। ওই অবস্থাতেই নিজের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং করতে পাঠিয়ে দেন। টিভি দর্শকেরা তো বটেই, গ্যালারির দর্শকেরাও বুঝতে পারছিলেন না মাঠে কী হচ্ছে। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো এত বড় মঞ্চে অন্ধকারে অর্থহীন ক্রিকেট খেলছে বিশ্বের সেরা দুটি দল, তাও পুরো তিন ওভার ধরে-ক্রিকেটের সবচেয়ে হাস্যকর ঘটনার উদাহরণ এটিই।
ফ্লাড লাইট নিয়ে পরের হাস্যকর প্রহসনের ঘটনা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। ২০০৮ সালে ইডেন গার্ডেনে ভয়ংকর এক পিচে ডেকান চার্জার্সের ছুড়ে দেওয়া ১১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০ বলে ২২ রান দরকার এমনই এক সময়ে একটি ফ্লাড লাইট নিভে গেল। ম্যাচের এমনই অবস্থা যে ডি/এল পদ্ধতিতেও দুই দল সমতায়! খেলার ফল পেতে হলে ওই অবস্থাতেই মাঠে নেমে ‘বোল আউট’-এ নামতে হতো দুই দলকে!
ফ্লাড লাইট নিয়ে পরের প্রহসনের ঘটনায় জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নামও। হাম্বানটোটায় বাংলাদেশ ব্যাটিং করছিল প্রথমে। বাংলাদেশের ইনিংসের ৪১তম ওভারে মাঠের দুইটি ফ্লাড লাইট হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। পুরো ৮৪ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হয়। এরপর বাংলাদেশ পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ পেলেও শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কোটা থেকে কিন্তু নয় ওভার কেটে রাখা হয়। মজার ব্যাপার হলো শ্রীলঙ্কা ব্যাট করতে নামার আগে আবারও ফ্লাড লাইটের আলো নিভে যায়! ফলে আবারও খেলোয়াড়েরা পেয়ে যান ১৫ মিনিটের বিরতি।
ক্রিকেটে প্রযুক্তি আসছে। নিত্য-নতুন যন্ত্রও। তবে এটাও মেনে নিতে হবে, যন্ত্র থাকলে যন্ত্রণাও কিন্তু থাকবে!


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM