আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স॥
খেলার ২০ মিনিটেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল—ম্যাচ সেরা কে হতে চলেছেন। সার্জিও রামোসের উপহার দেওয়া পেনাল্টি নিতে এগিয়ে এলেন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের স্ট্রাইকার আতোঁয়ান গ্রিজম্যান। জোরালো এক শটই নিয়েছিলেন এই ফরাসি। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের গোলবারে যে কেইলর নাভাস। বামদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দিলেন গ্রিজম্যানের শট। তখনই বোঝা গিয়েছিল দিনটি হতে যাচ্ছে এই কোস্টারিকান গোলরক্ষকের। নাভাসের অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণেই কাল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ল দুই দল।
খেলার শুরুটা কিন্তু দিয়েছিল অন্যরকম ইঙ্গিত। ভিসেন্তে ক্যালদেরন স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই স্বাগতিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রিয়াল। এর ফলও পেয়ে যায় খুব দ্রুত। নয় মিনিটের মাথায় ডান প্রান্ত দিয়ে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ঢোকেন ড্যানি কারভাহাল। তাঁর থেকে পাওয়া ক্রস থেকে চমৎকার এক হেডে রিয়ালকে এগিয়ে দেন করিম বেনজেমা। এরপরও বেশ কিছুক্ষণ মাঠে দাপট দেখায় রাফা বেনিতেজের দল। পরে একটু রক্ষণাত্মক খেলতে শুরু করে রিয়াল। তার সুযোগ নিয়ে আক্রমণে চড়াও হতে থাকে অ্যাথলেটিকো। ২০ মিনিটের মাথায় অধিনায়ক রামোসের ভুলে তো গোলই খেতে বসেছিল রিয়াল। কিন্তু নাভাসের অসাধারণ সেই পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেওয়া রিয়ালকে এগিয়ে রাখে খেলায়। বিরতির আগে অবশ্য আরও কয়েকবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ‘লস ব্লাঙ্কোসরা’। প্রতি আক্রমণ থেকে পাওয়া এসব সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বেনজেমা-রোনালদোরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে চেপে বসে অ্যাথলেটিকো। কিন্তু গোলে শট নিতে পারার ব্যর্থতায় ফল পাচ্ছিল না তারা। রিয়ালের রক্ষণাত্মক মনোভাব এবং গ্রিজম্যান, ভিয়েত্তোদের ব্যর্থতায় যখন রিয়ালের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া প্রায় নিশ্চিত, তখন ভাগ্যের সহায়তা পেল অ্যাথলেটিকো। খেলার ৮৩ মিনিটে আরবেওলার হাস্যকর এক ভুলে বল পেয়ে যান জ্যাকসন মার্টিনেজ। বল নিয়ে বক্সের বাম দিকে ঢুকে পড়েন মার্টিনেজ। তাঁর বাড়িয়ে দেওয়া বল চলে যায় গ্রিজম্যানের কাছে। তাঁর ব্যাক হিল নাভাসের বাড়িয়ে দেওয়া হাত গলে চলে যায় ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা লুসিয়ানো ভিয়েত্তোর কাছে। ফাঁকা পোস্টে বল ঠেলে দিতে ভুল করেননি ভিয়েত্তো। খেলায় সমতা ফেরায় অ্যাথলেটিকো। এরপর আক্রমণের ধার আরও বেড়ে যায় তাদের। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে নাভাস বাধা হয়ে না দাঁড়ালে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ত স্বাগতিকেরা। মার্টিনেজের নেওয়া শটটি বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দলকে বাঁচিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক। ফলে সমতা নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।
এই ড্রয়ের পর ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে রিয়াল। সমান পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থান বার্সেলোনার। আর ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে অ্যাথলেটিকো। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত শীর্ষে আছে ভিয়ারিয়াল।
মন্তব্য করুন