বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪০ অপরাহ্ন
অপহৃতরা হলেন মুন্না (৪২), জবিউল (২৮) এবং মাং সাই ম্রো। মুন্না এবং জবিউল ঢাকা থেকে আসেন। মাং সাই ম্রো পার্শ্ববর্তী পাইচিং পাড়ার বাসিন্দা।
বিলাইছড়ি থানার ওসি মনজুরুল আলম জানান, অপহরণের ঘটনাটি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে অপহৃতদের আত্মীয়-স্বজনের পক্ষে থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আথুই মং মারমা জানান, ঘটনা জানার পর তারা আশপাশের এলাকায় খোঁজ নিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রগুলো আরো জানায়, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সন্ত্রাসীরা ওই তিনজনকে অপহরণ করেছে। তবে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, সেপ্রুপাড়া থেকে পাহাড়ি পথে আধা ঘন্টা হাঁটলেই বাংলাদেশ-ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখা (নো-ম্যান্স)। এর একপাশে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান লিবারেশন পার্টি (এএলপি) এবং আরাকান আর্মির (এএ) ক্যাম্প রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালালেও গত ২৬ আগস্ট থানচির মদকে আরাকান আর্মির ঘোড়া আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) সদস্যদের গুলিবিনিময়ের পর আরাকান আর্মি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠেছে।
একই দিন দুপুর ২টায় কেওক্রাডং যাবার পথে আনন্দপাড়াসংলগ্ন নির্জন জঙ্গলে ব্যারিকেড দিয়ে সন্ত্রাসীরা আট পর্যটককে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে ক্যামেরা, টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়। তবে লুণ্ঠিত মালামাল পরিবহনের জন্যে লালজিং বম নামের একজন গাইডকে সন্ত্রাসীরা অজ্ঞাত স্থানের উদ্দেশে নিয়ে যায়। ঘটনার দুই দিন পরও লালজিং বম ফিরে আসেনি। এ ঘটনাটিও আরাকান আর্মি ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন