হাসপাতালের গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট হেমা সানজিদ শনিবার এই অস্ত্রোপচার করেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “প্রায় ৯ মাস আগে মরে যাওয়া শিশুকে পেটের মধ্যে নিয়ে যন্ত্রণা ভোগ করছিলেন ওই নারী।
“১৮ মাস আগে গর্ভধারণ করেন তিনি। অস্বাভাবিকভাবে জরায়ুর বাইরে তার পেটের ভেতর শিশুটি বেড়ে ওঠে। প্রায় ৯ মাস আগে শিশুটি মারা যায়।”
অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক হেমা সানজিদ বলেন, শিশুটি মারা যাওয়ার পর থেকে ওই নারী যন্ত্রণা ভোগ করতে থাকলেও পরিবারের আর্থিক দৈন্যের কারণে তার চিকিৎসা হয়নি। বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
“স্বাভাবিকভাবে জরায়ুতেই বাচ্চা জন্ম নিয়ে থাকে এবং বেড়ে ওঠে। পেটের মধ্যে বাচ্চা জন্ম নেওয়া বিরল ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা লাখে একজনের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। এসব ক্ষেত্রে প্রসূতির মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে ৮০ শতাংশের বেশি।”
ওই নারীর জরায়ু দ্বিখণ্ডিত জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, অস্ত্রোপচারের পর থেকে তিনি সুস্থ আছেন।
মন্তব্য করুন