ভীষণ চাপের মধ্যে আমির ইয়ামিনের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ১১১ ও ইয়াসির শাহর সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেটে ৬৩ রান তোলেন মালিক। মালিকে সওয়ার হয়ে ক্রমেই যখন আশার আলো দেখতে পাচ্ছিল পাকিস্তান, তখনই প্রকৃতির বাগড়া। আলোকস্বল্পতায় একপর্যায়ে খেলাই গেল থেমে। ডিএল পদ্ধতিতে ম্যাচ জিতে গেল জিম্বাবুয়ে। শুরুতে ধীর গতিতে রান তোলার এতটা খেসারত দিতে হবে, ভাবতে পারেনি পাকিস্তান। দলের জয় তো বটেই, নিজের সেঞ্চুরিটাও ফসকে গেল ৯৬ রানে অপরাজিত থাকা মালিকের।
টসে জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাট করতে পাঠান পাকিস্তানি অধিনায়ক আজহার। খুব একটা উইকেট বিলিয়ে না দিলেও পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুর দিকে রান তুলতে বেগই পেতে হয়েছে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের। ৩৫ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১৫৩। বাকি ৯০ বলে এসেছে ১২৩ রান। স্লগ ওভার দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা। শেষ ৪২ বলেই এসেছে ৭০ রান।
ব্রায়ান চারি-চামু চিভাভার ৯১ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভালো ভিত্তি দিলেও জিম্বাবুয়েকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দেয় মূলত চিগুম্বুরা-সিকান্দার রাজার পঞ্চম উইকেট জুটি। ৩৬ বলে ৬২ রান তোলে এ জুটি। ওয়াহাব রিয়াজের বলে ফেরার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯০ এসেছে চিভাভার ব্যাট থেকে। অধিনায়ক চিগুম্বুরা করেছেন ৫৫ বলে ৬৭ রান। ২১ বলে ৩২ করেছেন রাজা। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন রিয়াজ।
এ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে জিম্বাবুয়ে।