রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যাতে ভোটার তালিকায় অন্তভুর্ক্ত হতে না পারে, এ জন্য নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী প্রথম আলোকে বলেন, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন কৌশলে ভোটার তালিকায় ঢুকে যাচ্ছে। তা রোধ করতে কমিশন তাদের জন্য আলাদা তথ্যভান্ডার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে আগামী সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চিঠি দেওয়া হবে।
কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে তাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, এতে কক্সবাজারের কুতুপালং ও নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরে ৩০ হাজার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আছে। বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, বান্দরবান ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গার সংখ্যা চার থেকে পাঁচ লাখ। এদের অনেকেই বিভিন্ন সময়ে ভোটার তালিকায় অন্তভুর্ক্ত হয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। অনেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশেও পাড়ি দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।
এ বিষয়ে কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়, কক্সবাজারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের ভোটার বাড়ানোর জন্য রোহিঙ্গাদের ভোটার করেছে। কমিশন তদন্ত করে এর সত্যতা পায় এবং অনেক রোহিঙ্গাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়।
জেসমিন টুলী বলেন, বর্তমানে নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কমিশনের কাছে কোনো তথ্য নেই। অন্তত এদের নাম-ঠিকানা ও আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা সম্ভব হলে, কেউ ভোটার হলে বা ভোটার হতে চেষ্টা করলে, তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন