টেস্ট ম্যাচটার ধরনই এমন, এখানে টাই হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ২ হাজারের বেশি টেস্ট ম্যাচে মাত্র দুটোর ফলের পাশে লেখা আছে ‘টাই’। দুটোর সঙ্গে জড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার নাম। ১৯৬০ সালে ব্রিসবেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টাই হয়েছিল কোনো টেস্ট। সেই ম্যাচের শেষ বলটি খেলা ক্লাইন গতকাল মারা গেছেন। ৮১ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর।
১৯৫৭ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে ১৩ টেস্টে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের সবুজ টুপি মাথায় পরেছিলেন। ৮৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২৭.৩৯ গড়ে ২৭৬টি উইকেট নিয়েছিলেন বাঁ হাতি স্পিনে। কিন্তু টেস্ট খেলা হয়নি সেভাবে। না হোক, ইতিহাসে জায়গা তো পেয়েই গেছেন। সেটিও বোলার নয়, ব্যাটসম্যানের ভূমিকায়। সেটিও ১ বলে ০ রানের অপরাজিত থেকেই!
জয়ের জন্য ২৩৩ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ৬ উইকেটে ২২৬ রান তুলেও ফেলেছিল। হাতে ৪ উইকেট, দরকার মাত্র সাত রান। কিন্তু পরের ৬ রানেই পড়ে গেল ৩ উইকেট। শেষ দিনে নাটকীয় মোড় নেওয়া ম্যাচের চূড়ান্ত নাটক তখনো বাকি ছিল। যে নাটকের সমাপ্তি হলো সেই ‘ঐতিহাসিক’ রান আউটে।
ক্লাইনের চলে যাওয়া মানে তাই এক জীবন্ত ইতিহাসেরই চলে যাওয়া। ক্লাইনের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গোটা ক্যারিয়ারেই ইতিহাসের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সঙ্গে নিজের নাম জড়িয়েছেন লিন্ডসে ক্লাইন। সে কারণেই তাঁকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট ইতিহাসের একটা বিশেষ জায়গায় স্থান দিতেই হবে।’
তিনি ২০১৫ সালকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের জন্য ‘শোকের বছর’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘এ বছরটা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের জন্য বড্ড শোকের। পুরো বছর জুড়েই আমরা হারিয়েছি আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসের রত্নদের। রিচি বেনো, আর্থার মরিসের পর এবার আমরা হারালাম লিন্ডসে ক্লাইনকে।’
সেই ঐতিহাসিক টাই টেস্টের অধিনায়ক ছিলেন বেনো। সূত্র: এএফপি।