আলোকিত কক্সবাজার ডেক্স॥
বিমানবন্দরে নামার পর থেকে গণভবনে পৌঁছানো পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সোয়া দুইটার দিকে তিনি গণভবনে পৌঁছান। এই পথে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান হাজারো নেতা-কর্মী। পতাকা উড়িয়ে, ফুল ছিটিয়ে, হাত নেড়ে নেত্রীকে স্বাগত জানান তাঁরা।
বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়েছিলেন নেতা-কর্মীরা। জাহাঙ্গীর গেট থেকে গণভবন পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। ব্যান্ড পার্টি, ভুভুজেলা বাজিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়। নেত্রীর উদ্দেশে হাত নাড়েন তাঁরা। হাতে থাকা ছোট পতাকা উড়িয়ে স্বাগত জানান। কখনো ছিটিয়ে দেন ফুল। প্রধানমন্ত্রীও গাড়ি থেকে তাঁদের উদ্দেশে হাত নাড়েন।
জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের দেওয়া ‘আইসিটি অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০ তম অধিবেশনে যোগদান শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
মতবিনিময়ের পর বিমানবন্দরে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে সম্মানজনক অবস্থায় রয়েছে। এ মুহূর্তে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে একটি মহল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সরকার সেসব কঠোর হস্তে মোকাবিলা করছে।
সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদউদ্দীন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, সাংসদ মাহমুদ সামাদ চৌধুরী, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, সাংসদ ইমরান আহম্মেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহম্মেদ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
জাতিসংঘের ৭০ তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান। সেখান থেকে লন্ডন হয়ে দেশে ফিরলেন তিনি।
মন্তব্য করুন