৮০ বছর বয়সী হান্নান ময়মনসিংহ-৭ আসনের (ত্রিশাল) সংসদ সদস্য। তিনি জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীরও সদস্য।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচারে এর আগে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ার এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ কায়সারের সাজা হয়।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শহীদুল আলম ঝিনুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ট্রাইবুনাল বন্ধ থাকায় তাদের সিএমএম কোর্টে হাজির করা হলে কোর্ট তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। ট্রাইবুনাল বসলে তাদের সেখানে হাজির করা হবে।”
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হক নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হান্নান ও তার ছেলেসহ মোট আট আসামির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করলে ঢাকায় হান্নান ও তার ছেলের পাশাপাশি আরও তিনজনকে ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা ফরিদ মিয়া বলেন, “পাঁচজনের মধ্যে একজনের অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজল সেলে রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে।”
তবে এই ‘একজন’ এম এ হান্নান কিনা তা জানা যায়নি।
একই মামলায় গ্রেপ্তার অন্য তিনজন হলেন, ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির (৬৬), মিজানুর রহমান মিন্টু (৬০) এবং হরমুজ আলী (৭০)।
মুক্তিযুদ্ধের সময় একাত্তরের ৯ অগাস্ট ময়মনসিংহ জেলা শান্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক হান্নান তার সহযোগী রাজাকারদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানকে গৌরীপুরের ভাংনামারীর চর থেকে ধরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টর্চার সেলে’ নিয়ে দুই চোখ উপড়ে এবং ডান হাত ভেঙে ফেলার পর হত্যা করেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন