বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
স্বাস্থ্য ডেক্স॥
সরকারি মেডিকেলে হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
এ রোগ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে প্রতিবছর ১৭ এপ্রিল হিমোফিলিয়া দিবস পালন করা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নাসিম বলেন, এ রোগ সম্পর্কে আমার ও বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে সচেতনতা নেই। এ রোগ জন্মগত হলেও নিরাময় যোগ্য।
বাংলাদেশে সব রোগ চিকিৎসায় অগ্রাধিকার পেলে হিমোফিলিয়া কেন পাবে না? প্রশ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।
এ রোগের সচেতনতা বৃদ্ধি, আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের সরকারি মেডিকেলে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির যুগে দুরারোগ্য ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, নারী ও শিশু মৃত্যু রোধ এবং বাংলাদেশকে পোলিওমুক্ত করতে পেরেছি।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে সফলতা তুলে ধরে নাসিম বলেন, এখন গ্রামেও ডাক্তার থাকেন। গতবছর ৬ হাজার তরুণ ডাক্তারকে নিজ জেলায় বদলি করা হয়েছে।
সারাদেশে ১৪ হাজার ইউনিয়ন হেলথ ক্লিনিকে সেবা ও ঔষধ দেওয়া হচ্ছে। সীমাবদ্ধ সম্পদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
নামিস বলেন, চিকিৎসায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ রোল মডেল। বাংলাদেশ চিকিৎসায় আরও এগিয়ে যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, সচেতনতা আর ব্যয়বহুল চিকিৎসার কারণে বহু রোগী এ রোগে মারা যান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এইডস রোগী নেই বললেই চলে। এক হাজার ৩শ’ থেকে এক হাজার ৫শ’ এইডস রোগীর জন্য বছরে ৩০ কোটি টাকা খরচ করতে পারলে হিমোফিলিয়ার জন্য নয় কেন।
১৮টি মেডিকেল কলেজে এ রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও পর্যায়ক্রমে সব উপজেলা-জেলা সদর হাসপাতালেও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. সামিউল ইসলাম বলেন, প্রথমে ৮টি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজে এ রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এ রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ফ্যাক্টর (ইনজেকশন), ডায়ালেসিসের ব্যবস্থা করা হবে।
সভায় জানানো হয়, হিমোফিলিয়া এক ধরনের রক্তক্ষরণজনিত ও বংশানুক্রমিক রোগ। এ রোগ পুরুষের হলেও, বাহক নারী।
ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব হিমোফিলিয়া’র রিপোর্ট মতে, বাংলাদেশে এ রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার ৬৪০ জন। তবে জরিপ না হওয়ায় সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম। সংগঠনের নিবন্ধিত রোগীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হিমোফিলিয়া রোগীরা এতে অংশ নেন
মন্তব্য করুন