বাইরে ডিম্বানুর নিষেক ক্রিয়ার পর তাদের জরায়ুতে তা স্থাপন (আইভিএফ) করা হয়েছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র ডেইলি মেইল জানিয়েছে, অভিভাবক হওয়ার উপযুক্ত হয়েছেন বিবেচনা করে এই নারীরা পাঁচ বছর আগে তাদের বয়স ২০ পেরোনোর পর আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এই সিদ্ধান্তের কারণ খুঁজতে গেলে এই ‘কুমারী মা’দের কেউ কেউ বলেছেন, তারা এখনও মনের মতো জীবনসঙ্গী খুঁজে পাননি। কেউ কেউ যৌনতা নিয়ে মানসিক ভীতির কথাও বলেছেন।
ধর্মীয় গোষ্ঠী এভাবে মা হওয়ার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে হলেও একজন চিকিৎসক বলেছেন, আবেগ ও স্বাবলম্বিতার ক্ষেত্রে এই ‘সিঙ্গেল মা’রা সচরাচর স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়া নারীদের চেয়ে তুলনামূলক স্থিতিশীল।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় গ্যামেট (জননকোষ) ডোনেশন ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী লরা উইটজেনস বলেছেন, “নিজেদের পছন্দের পথ বেছে নেওয়ার অধিকার এই নারীদের রয়েছে। তবে ক্লিনিকগুলোর একটি দায়িত্ব আছে; কেন এই নারীরা এই পথ বেছে নিয়েছে, সেই বিবেচনাটাও তাদের করতে হবে।”
২০১৩ সালের একটি জরিপে দাবি করা হয়, যুক্তরাজ্যে গর্ভধারণকারী প্রতি ২০০ জন নারীর মধ্যে একজন যৌন সংসর্গ ছাড়াই সন্তান জন্ম দেন।
মন্তব্য করুন