
রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন
ভাতের সঙ্গে একটুকরো মাছ না হলে বহু মানুষের যেন খাওয়া অতৃপ্ত থেকে যায়। আর এ জন্যই মনে হয় বাংলায় প্রবাদ আছে ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। তবে এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা উপকারী তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
নানা পুষ্টিগুণে ঠাসা :
নানা রকমের মাছের মধ্যে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ। ভিটামিন ডি, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো উপাদানগুলি শরীরের হাজারো সমস্যায় প্রতিষেধকের কাজ করে। এছাড়াও নানা ধরনের প্রোটিন ও আয়োডিন থাকে মাছের মধ্যে।
সুস্থ বৃদ্ধির সহায়ক :
ছোটবেলা থেকেই মাছ খেলে বাচ্চাদের শারীরিক বৃদ্ধি অনেক ভালো হয়। এছাড়াও মস্তিষ্কের বিকাশ ও চোখের দৃষ্টি মজবুত হয় মাছ খেলে।
অবসাদ কমাতে :
অবসাদগ্রস্ত মানুষদের মেজাজ অনেক সময়ই খারাপ থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অবসাদ কমাতে সাহায্য করে।
হার্টের রোগ কমায় :
হার্টের যেকোনো সমস্যাকে আটকাতে সাহায্য করে মাছ। প্রতিদিন মাছ খেলে স্ট্রোকের মতো সমস্যার প্রবণতা অনেকটা কমে যায়।
ঘুম ভালো হয় :
আজকের দিনে হাজারো চিন্তায় ঘুম ভালো করে হয় না বহু মানুষের। তবে সপ্তাহে অন্তত ২দিন করে মাছ খেলে ঘুম ভালো হবে।
মস্তিষ্কের জন্য ভালো :
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্ষমতা অনেক কমে যায়। তবে সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত মাছ খান, তাদের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ হারে কমে যায় মস্তিষ্কের বয়স। ফলে মস্তিষ্ক বেশি সচল থাকে।
সুস্থ ত্বক :
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে নিয়মিত মাছ খেলে ত্বক ও চুল ভালো থাকে।
ভিটামিন ডি’তে সমৃদ্ধ :
এখনকার দিনে অনেকেরই সূর্যের তাপে পুড়ে ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ করা হয় না। তবে তার বিকল্প হিসাবে মাছ খেলে শরীরে ভিটামিন ডি’ এর ঘাটতি পূরণ হয়।
চোখের সমস্যা কমায় :
মাছ খেলে চোখের নানা সমস্যা সহজে দেখা দেয় না।
স্পার্মের মান ভালো হয় :
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে পুরুষেরা মাছ বেশি খান, তাদের স্পার্মের মান অনেক বেশি ভালো হয়।
ক্যানসারের প্রবণতা কমায় :
মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ক্যানসারের প্রবণতাকে ৩০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম করতে পারে। কোলন ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যনসার ও ওরাল ক্যানসারের প্রবণতা মাছ খেলে অনেক কমে যায়।
ডায়বেটিসের সম্ভাবনা কমে :
প্রতিনিয়ত মাছ খেলে রক্তচাপ ও তাতে শর্করার পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডায়বেটিসের আশঙ্কা কমে যায়।
মন্তব্য করুন