শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ৭ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে রিমান্ডে নিয়ে গেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন–র্যাব।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে ৭ আসামিকে নিয়ে যায় র্যাব।
আসামীরা হলেন পুলিশের বরখাস্তকৃত এএসআই লিটন মিয়া,কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন।
অন্য ৩ আসামীরা পুলিশের করা মামলার সাক্ষী ও মেজর সিনহা হত্যা মামলার সন্দেহভাজন টেকনাফের মারিশবনিয়া গ্রামের মো. আয়াছ, নুরুল আমিন ও নাজিম উদ্দিন।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে র্যাবের কয়েকটি গাড়ি কারাগারে আসে। পরে চার পুলিশসহ সিনহা হত্যা মামলার ৭ আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে নিয়ে যায় র্যাব।
গত বুধবার (১২ আগষ্ট) র্যাবরে পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ) আদালত এই ৭ আসামিকে র্যাবের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একই মামলার অন্য ৩ আসামী টেকনাফ মডেল থানার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও থানার এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, এই ৭ আসামীর জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ার পরই ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষীতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর আগে তাদেরও ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ) আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক তামান্না ফারাহ্ এই হত্যা মামলায় ৪ পুলিশসহ সাত আসামীকে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে এই ৪ পুলিশ সদস্যকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সেই জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ায় তাঁদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে র্যাব। আদালত এই ৪ পুলিশ সদস্যকে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। একই সঙ্গে পুলিশের করা মামলার ৩ সাক্ষীরও সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে কক্সবাজার ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা।
মন্তব্য করুন