মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন

স্বাভাবিক জীবনে বেঁচে থাকা হলো না একরামের

স্বাভাবিক জীবনে বেঁচে থাকা হলো না একরামের

অনলাইন বিজ্ঞাপন

এক সময় অবৈধ অস্ত্রহাতে ডাকাতিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে অস্বাভাবিক জীবন যাপন করেছিল একরাম। সরকার অপরাধীদের আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দিলে ২০১৯ সালে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি জামিনে বের হয়েও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকা হলো তার। বুধবার (৩০ জুন) রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তের হাতে নির্মমভাবে খুন হন একরাম। বুধবার দিবাগত রাত অনুমান সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলার মাতারবাড়ির কোহেলিয়া নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত একরাম মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলার মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।

তার হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে কালরমার ছড়ার উত্তর নলবিলা এলাকা থেকে কবির (২৮) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।

নিহতের মামাতো ভাই হাইদার বলেন, অন্ধকার জগৎ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করে আমার ভাই। সম্প্রীতি জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় এসে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান করেন। এতে চিহ্নিত ডাকাত দলের সদস্যরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সম্প্রতি মহেশখালীর কালারমার ছড়ার চালিয়াতলী ও মাতারবাড়ি সড়কে ডাকাত ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন সে। ঐ সময় পুলিশের হাতে আটক হন চিহ্নত ডাকাত কবির। সম্প্রতি সে জামিনে মুক্ত হয়ে একরামকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিল। বুধবার সুযোগ বুঝে তাকে হত্যা করছে কবির ও তার সহযোগিরা।

কালারমার ছড়ার ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার লিয়াকত আলী খান বলেন, অস্ত্রহাতে যে ছেলেটি অন্ধাকারে ছিল সে স্বাভাবিক জীবনে আসতে চেয়েছিল বলে সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অন্যথায় এলাকার পরিস্থিতি দিন দিন অশান্তি হতে পারে।

মাতারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে আমি চৌকিদারদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসি। আর পুলিশকে খবর দিই। এসময় উপস্থিত লোকজনের সাথে বলে ঘটনার বর্ণনা শুনি। আমার মনে হয় এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এ ধরনের ঘটনা সত্যিই নিন্দনীয়। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মহেশখালী-কুুতুবদিয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারসহ (সার্কেল) ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত থাকুক না কেন আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, হত্যাকন্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে স্থানীয় জনতা একজনকে আটক করে আমাদের হাতে দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM