লোমহর্ষক সিনহা হত্যার দাগ শামলাপুর ফাঁড়ির সামনে আর রইলনা! রক্তাক্ত সিনহার লাশের হৃদয়ের ক্ষত, কান্না, রক্তের দাগ আমাদের হৃদয়ে অনুরণিত আজ। সিনহার মতো অগণন মানুষ লাশ হয়েছিল তাদের হাতে।যাদের লাইসেন্স সহ অস্ত্র দেয়া
হয়েছিল দেশের তথা জনগনের স্বার্থে।
রাজনীতিবিদ,সাংবাদিক,মুক্তিযোদ্ধা,বিরোধীদল প্রত্যেকেই এসব সহিংসতার বিরুদ্ধে নিরুত্তাপ ভূমিকা রাখে বলেই বাংলাদেশ আলোকিত করা কক্সবাজার’আজ পুলিশ বাহিনীর হাতে অসহায় জিম্মি হয়েছে।
জেলার প্রতিটি থানায় চলছিল, পুলিশি সন্ত্রাস। আমাদের বেশীরভাগ সিনিয়ররা সন্ত্রাস কে দেখেও নির্বিকার থাকেন।আমরা বুঝিনা, কেন তাদের হৃদয় পাষাণ ক্ষতহীন! রাজনৈতিক স্হবির নেতৃত্ব’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতির বিপরীতমুখী। তারা ভাবেন,এই নির্বিকার রাজনৈতিক চলা বঙ্গবন্ধু কন্যা খবর রাখেননা।
নেত্রী বলেন,”আমার বাবা চিনেনি খন্দকার মোশতাককে,আমি চিনি”!
অনেক সাংসদ ও নেতারা মনে করেন, শেখ হাসিনাই সব করবেন।আমাদের করার কিচ্ছু নেই। তারা কি বুঝে শুনে বলেন, আমাদের আজ অবধি তার উত্তর বোধগম্য হয়নি!
সিনহা হত্যার পর ১৬ই আগস্ট’ চকরিয়া থানায় প্রবাসী সহ তিনজনকে পটিয়া থেকে ধরে নিয়ে টাকা না পেয়ে পুলিশ হত্যা করে। মহেশখালী থানায় প্রদীপ ওসি থাকাকালীন বহু মানুষ নির্যাতিত ও হত্যা হয়। রামু থানায় দূর্বৃত্তায়ন চলতে চলতে সর্বশেষ সিনহার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে তাদের আঠাইশ টি ডিভাইস চুরি করে। বিনিময়ে মদ গাজা ইয়াবা জব্দ তালিকা।সদর থানায় টাকা ইয়াবা ও ক্রসফায়ার নাটক হলো সম্প্রতি।
উখিয়া থানায় চরম বর্বরদশা চলমান। টেকনাফ থানার কথা বলাই বাহুল্য। বিভিন্ন ফাঁড়ি গুলোতে অত্যাচার ও টাকা ব্যতিরেকে কোন কথা নেই। পাহাড় কাটা, ভূমিদস্যূতা এলাকাভিত্তিক বহু জনপ্রতিনিধির পুলিশি সহযোগিতায় নিয়মিত ব্যবসা।যে ইয়াবা, মাদক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে আহরিত হয়,তার জব্দ তালিকা পুলিশের হাতে গেলেই শেষ।পুলিশ যেন ফেরেস্তা হয়ে ইয়াবা নির্মূল করছে। কেউ বলছেনা এটি রিসাইক্লিং পদ্ধতিতে সম্প্রসারণ হচ্ছে কিনা!
তবুও এ জেলার বড়জনরা জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে গুনে গুনে উপাধি ও তথ্য দেন। ফোন করেন উচ্চ পর্যায়ে যেন পুলিশ সুপারকে ককসবাজার জেলায় টিকিয়ে রাখা হয়। যে মুক্তিযোদ্ধারা একদিন দেশ রক্ষায় অস্ত্র ধরেছিলেন,সর্বশেষ তারা বিভিন্ন স্তরে পুলিশ সুপারের পক্ষে সনদ পাঠালেন।আকুতি করলেন যেন উনাকে এ জেলা থেকে প্রত্যাহার করা না হয়।আমরা নির্বাক ‘অপরাজনীতি দর্শনে।কদিন আগে দেখতাম বহু সাংবাদিক ও রাঘব বোয়ালরা প্রদীপকে সারাজীবন রাখবার ব্যবস্হা করছিলেন। আজ তারা নুতুন মুখোশে পরিস্থিতি দেখেন।
আমাদের স্বদায়িত্বে সত্যের মুখোমুখি হতেই হবে,পলাশীর প্রান্তরে বিশ্বাসঘাতকতায় সিরাজুদ্দৌলার নির্মম পরাজয়ের কাহিনি নেতারা বক্তব্যে বললেও চর্চা করেননা! তবে ইতিহাস মীরজাফর, খোন্দকার মোশতাকদের চিহ্নিত করে দিয়েছেন। সময়ের স্রোতধারায় রাজনীতিবিদরা জনগণের কল্যানে এগিয়ে না আসা মানেই পলাশীর প্রান্তরের মতো বঙ্গবন্ধু কন্যার সাথে বেঈমানী করা।
ইতিহাস কখনো কোন বেঈমান সুবিধা ভোগীদের ক্ষমা করেনি!!!
লেখক-সাংগঠনিক সম্পাদক, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ।