ঈদগাঁও – ঈদগড় সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা চরম ঝুকিঁপূর্ন আর করুন দশায় পরিনত হয়ে পড়েছে। সড়ক জুড়েই যত্রতত্র স্থানে খানা খন্দকে ছেয়ে গেছে। যেন সড়কটি অভিভাবক হীন অবস্থায় পতিত রয়েছে দীর্ঘকাল ধরে।
পাশাপাশি ঈদগাঁও-ঈদগড় -বাইশারীমুখী যানবাহন সন্ধ্যার পর থেকে যাত্রী নিয়ে আসা যাওয়ায় চরম আতংকে থাকেন।
দেখা যায়, এ পাহাড়ী সড়কের গজালিয়া পয়েন্টে ঈদগাঁও নদীর করালগ্রাসে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সামান্য পরিমান রাস্তা বিলীন থেকে রক্ষা পেয়েছে। সেটি দিয়ে কোন রকম আড়াআড়ি করে দু -মুখী হরেক রকমের যানবাহন চলাচল করছে। যেকোন মুহুর্তে ঐ বাকী রাস্তাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন যানবাহনের যাত্রী ও স্থানীয় লোকজন। এতে করে বড় পরিসরে দূর্ঘটনা হওয়ার আশংকা ও করেন। ঢালা সংলগ্ন পাহাড়ের ভেতরে একটি রাস্তা করে হিল লাইন, সিএনজি, টমটম, অটোরিকশা চলাচল করছে কষ্টের বিনিময়ে।
এতে যানবাহন চলাচলে নিদারুন কষ্ট পাচ্ছে যাত্রীরা। রাতের বেলায় যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে ঐ স্থানে গাড়ী উল্টে দূর্ঘটনায় পতিত হওয়ার শংকাও প্রকাশ করেন অনেকে। ঈদগড় থেকে ঈদগাঁওমুখী কয়েকজন যাত্রী আজকের ককসবাজারের এ প্রতিনিধিকে এসব কথা জানান হতাশ কন্ঠে। এদিকে সড়কের নানা স্থানে মাঝ অংশে গর্তে সয়লাব হয়ে উঠে। আবার সড়কটির কোন কোন স্থানে একপাশ ধেবে যাচ্ছে।
অপরদিকে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ঝুকিঁপূর্ন বললেই চলে। যা দিয়ে চলাচল অনেকটা দুবির্সহ হয়ে উঠছে। আরো জানা যায়,ঈদগাও -ঈদগড় সড়কটি দীর্ঘসময় ধরে এহেন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সংস্কারের আলোর মুখ দেখছেনা। দিন দিন উক্ত সড়কটি আরো অযোগ্য হয়ে পড়ছে। গুরুত্ববহ ঈদগাঁও – ঈদগড় সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার লোকজন আসা যাওয়া করে থাকে।
এতে দেখার কেউ না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ সর্বস্থরের লোকজন। তবে কয়েকজন চালক জানান, করার কিছু নাই, অতি কষ্টের বিনিময়ে চরম আতংক মাথায় নিয়ে যানবাহন চালাতে হচ্ছে প্রায়শ । তবে সড়কটি সংস্কারের জোর দাবীও জানান । দুয়েক কাঁচামাল ব্যবসায়ী জানান, ঈদগড় থেকে ঈদগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় কাচামাল তরিতরকারী আনা নেওয়ার সময় দূর্ভোগে পড়তে হয়।
এ কষ্ট মেনে নেওয়া যায়না। সড়কের কয়েকটি অংশ বেশিভাগই ঝুকিঁপূর্ন । তবে সচেতন ব্যাক্তিরা জানান, ঈদগাঁও,ঈদগড় ও বাইশারীর প্রায় লক্ষাধিক লোকজনের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে এ সড়কটি।
তাই যানবাহন ও জন চলাচলের সুবির্ধাথে উক্ত সড়কটি দ্রুত সময়ে সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুনজর দাবী করেন।
মন্তব্য করুন