শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন

সেমিতে ঢাকা বসুন্ধরা, খুলনা, রাজশাহী ও এক্সপো অলস্টার

সেমিতে ঢাকা বসুন্ধরা, খুলনা, রাজশাহী ও এক্সপো অলস্টার

অনলাইন বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ওয়ালটন মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালে গ্রুপ পর্ব শেষে সেমিতে জায়গা করে নিয়েছে একমি রাজশাহী, এক্সপো অলস্টার , ঢাকা বসুন্ধরা ও টাইটান্স খুলনা।

কাল শুক্রবার কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাস্টার্স ক্রিকেটের দুটি সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। সকালে প্রথম সেমিফাইনালে টানা দুম্যাচ জিতে ‘এ’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন একমি রাজশাহী মোকাবেলা করবে ‘বি’ গ্রুপ রানার্স আপ গত আসরের চ্যাম্পিয়ন টাইটান্স খুলনার। দ্বিতীয় সেমিতে বিকালে রানরেটে এগিয়ে থেকে বি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা ঢাকা লড়বে ‘এ’ গ্রুপ রানার্স আপ গত আসরের ফাইনালিস্ট এক্সপো অলস্টার।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই মাঠে ৪ টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। একাডেমী মাঠে র’ ন্যাশন্স ঢাকা মেট্রো মাস্টার্সের ছুড়ে দেওয়া ১২৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৪ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে। ফয়সাল হোসেন ডিকেন্সের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি (৩০ বলে ৫৯*) ও আনিসুর রহমান সঞ্চয়ের ২৮ রানে ভর করে নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছিল র’ন্যাশন্স ঢাকা মেট্রো। ১২৬ রান তাড়া করতে নেমে খালেদ মাসুদ পাইলটের একমি রাজশাহী মাস্টার্স ১৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তোলে ১২৮ রান। রাজশাহীর আব্দুল হান্নান সরকার মাত্র ২৮ বলে ৫টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৬৫ রান করেন। তার সঙ্গে অপরাজিত ৩৭ রান করেন জাভেদ ওমর বেলিম। তাতে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে নোঙর করে রাজশাহী। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ম্যাচসেরা হন আব্দুল হান্নান সরকার।
সকালে মূল মাঠে বসুন্ধরা গ্রুপ ঢাকা বিভাগ মাস্টার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে টাইটান্স খুলনা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৮ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান সংগ্রহ করে ঢাকা বিভাগ মাস্টার্স। জবাবে ১৭.১ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন টাইটান্স খুলনা মাস্টার্স। ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জেতান হাবিবুল বাশার সুমন। তার সঙ্গে দলের জয়ে অবদান রাখেন হাসানুজ্জামান ঝরু।

সুমন ৩৩ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রান করেন। আর ঝরু ১৯ বলে ২ ছক্কায় ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার পান হাবিবুল বাশার। বল হাতে ২টি উইকেট নেন বসুন্ধরা ঢাকা বিভাগ মাস্টার্সের হুমায়ূন কবীর। তার আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হুমায়ূন কবীরের ৩০ ও শাফাক আল জাবিরের অপরাজিত ১৯ রানে ভর করে ১৮ ওভারে ১১৫ রান সংগ্রহ করে ঢাকা বিভাগ মাস্টার্স। বল হাতে খুলনা মাস্টার্সের জামাল বাবু ৪ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন।

বিকেল সাড়ে ৩টায় একাডেমী মাঠে বসুন্ধরা ঢাকা বিভাগ মাস্টার্স ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইস্পাহানি চিটাগং মাস্টার্সেকে। ইস্পাহানি চিটাগং মাস্টার্সের ছুড়ে দেওয়া ১২৮ রানের টার্গেট ১৪.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ছুঁয়ে ফেলে বসুন্ধরা। ব্যাট হাতে ৪৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে বসুন্ধরার জয় নিশ্চিত করেন হুমায়ুন কবির। ৩৩ রান করে যুবায়ের ইসাক।

বল হাতে চিটাগংয়ের সাইফুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন। তার আগে নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে ইস্পাহানি চিটাগং মাস্টার্স। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন মুশফিক বাবু। ২৬ রান করেন আজম ইকবাল। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন ঢাকা বিভাগ মস্টার্সের হুমায়ুন কবির।
অপর ম্যাচে মুল মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এক্সপো অলস্টারস মাস্টার্স নির্ধারিত ১৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে। ১৬৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানের বেশি করতে পারেনি র’ন্যাশন্স। তাতে ২৮ রানের জয় নিয়ে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে সেমিফাইনালে ওঠে এক্সপো অলস্টারস। র’ন্যাশন্সের ১৩৬ রানের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৮* রান করেন নিয়ামুর রশিদ রাহুল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন আনিসুল হাকিম রাব্বানি। ২৩ রান করেন ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স। বল হাতে অলস্টারসের হাসিবুল হোসেন শাস্ত ও মাসুদুর রহমান মুকুল ২টি করে উইকেট নেন। তার আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পায় অলস্টারস। ১১.৩ ওভারে মেহরাব হোসেন অপি ও এহসানুল হক সেজান মিলে ১১০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। এরপর অপি ৩৫ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। সেজান অপরাজিত থাকেন ৪৩ বলে ৪টি চার ও ৬ ছক্কায় ৭৬ রানে। এ ছাড়া ৩২ রান করেন জহিরুল হক খান রশিদ। ৭৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন সেজান।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM