শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৯ অপরাহ্ন
কক্সবাজার ২১ মে ১৯
তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়া বিক্ষুদ্ধ মুসল্লিরা বিদ্যুৎ অফিসে হামলা চালিয়েছে। তবে এ হামলায় বিদ্যুৎ অফিসের কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়। সোমবার (২০ মে) রাত অনুমান সাড়ে নয়টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষুদ্ধ মুসল্লিরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন।
বিক্ষোভকারিরা জানিয়েছেন, রমজান মাসের শুরু থেকে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। বিশেষ করে ইফতারি, তারাবি এবং সেহরির সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেনে সচেতন মহল। জেলা জুড়ে প্রতিবাদ শুরু হলেও আমলে নেয়নি বিদ্যুৎ কর্তপক্ষ। সারাদিন রোজা রেখে ধর্মপ্রাণ জনগন তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তার উপর বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট মানুষের বিরক্তির কারণ হয়ে দাড়ায়। এ অবস্থায় কক্সবাজারের চকরিয়ায় ক্ষুদ্ধ মুসল্লিরা রাত নয়টার দিকে বিদ্যুত অফিসে হামলা চালিয়েছে। হামলার পর মুসল্লীসহ সর্বসাধারণ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিতের দাবিতে অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেছে।
রাতে বিদ্যুত অফিসের সামনে বিক্ষুদ্ধ মুসল্লী অভিযোগ করে বলেছেন, আগে ঠিকমতো বিদ্যুত সরবরাহ থাকলেও পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে চকরিয়া উপজেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে ভয়াবহ লোডশেডিং। বিশেষ করে সেহেরী ইফতার ও তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। এটি পরিকল্পিত বলে দাবি তাদের। তারা রোজায় সুষ্ঠ ভাবে বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
চকরিয়া বিদ্যুত বিতরণ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী মো.সাইদুজ্জামান অফিসে হামলা করার মতো ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক দাবি করে বলেন, চকরিয়ায় যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে সে পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে লোডসেডিং হচ্ছে।
তিনি বলেন, চকরিয়া বিদ্যুত বিভাগের আওতায় প্রায় ২২হাজার গ্রাহক রয়েছে। এসব গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু গ্রাহকরা বিদ্যুত বিভাগ থেকে বিদ্যুত পাচ্ছেন ৮ মেগাওয়াট, আরও ১ মেগাওয়াট বিদ্যুত ঘাটতি রয়েছে। ২৪ ঘন্টায় ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুত দিয়ে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে।
W/R
মন্তব্য করুন